Article | Blog
গায়ক কম্পোজার কিংবা সুরের জাদুকর | কিং অফ ফিউশন : হাবিব ওয়াহিদ
![]() |
ছবিঃ হাবিব ওয়াহিদ |
নাম 'হাবিব ওয়াহিদ' তবে তিনি শ্রোতাদের কাছে "হাবিব" নামক এক নামেই বেশি পরিচিত। একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক যার জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৭৯ সালে ঢাকায়। উনার বাবা এদেশের একজন পপশিল্পী গায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদ।
হাবিব বাংলা লোকগীতির ফিউশনের সাথে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্যে সমধিক পরিচিত। স্বল্প পরিচিত লোকগীতিকে আরো ভালো সুর দিয়ে, রিমিক্স করে সাধারণ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন তিনি। তিনি মূলত হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিম, আমির উদ্দীন প্রমূখ মরমী সঙ্গীত শিল্পীদের গানকে কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এ কারণে অনেকের কাছেই তিনি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাত হয়েছেন।
হাবিব ওয়াহিদের মিউজিক ক্যারিয়ারের শুরুটা ব্যান্ড মিউজিকের মাধ্যমে হয়েছিল। হাবিব তার ক্যারিয়ারে মোট ৪টা ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। সাল ১৯৯৫, হাবিবের বয়স তখন ১৬! আমাদের দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালামের সাথে ক্লাস ৭ থেকেই পরিচয় ছিল হাবিবের। তারা ২জন এবং তাদের আরো কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা ব্যান্ড তৈরি করলো নাম 'রেনেগেডস', সেই ব্যান্ডে হাবিব ছিল ড্রামার। হাবিবের বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ ছিলেন ঐ সময়ের একজন জনপ্রিয় পপ তারকা এই সুবাদে ঐ সময়ের জনপ্রিয় সব ব্যান্ড মিউজিশিয়ানসদের সাথে হাবিবের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। হঠাৎ হাবিবের ডাক পড়লো ' মাইলস ' ব্যান্ডে, মাইলসের কি-বোর্ড বাজাতেন মানাম আহমেদ, উনি ছুটিতে তখন দেশের বাহিরে গিয়েছিলেন এই সুবাদে হাবিব বেশ কিছুদিন বিভিন্ন কনর্সাটে মাইলসের সাথে বাজিয়েছিলো।
এরপর হাবিব তখনকার সময়ে বহু জনপ্রিয় 'আর্ক' ব্যান্ডে যোগ দিলো, আর্ক ব্যান্ড হাবিব গেস্ট মেম্বার হিসেবে 'কি-বোর্ড' বাজালো প্রায় বছরখানেক। ২০০৪ সালে হাসান 'আর্ক' ভেঙে 'স্বাধীনতা' নামে নতুন ব্যান্ড তৈরি করলে ঐ ব্যান্ডের একটা অ্যালবাম বের হয়েছিল 'কারবালা ' নামে। এই অ্যালবামে মোট ১০টি গান ছিল যার মধ্যে ৫টি গানের সুর করেছিলো হাবিব ওয়াহিদ - এই ছিল হাবিবের ব্যান্ডের সাথে ইতিহাস।
১৯৯৯ তে হাবিব চলে যান ইংল্যান্ডে, মিউজিকের উপর পড়াশোনার জন্য ভর্তি হলেন লন্ডনের 'অডিও ইন্জিনিয়ারিং কলেজে'। লন্ডনে থাকাকালীন হাবিবের সাথে পরিচয় হয় ৩জন দেশি মানুষের সাথে, যারা এখন আমাদের খুব পরিচিত হেলাল,কায়া,শিরিন ' - হাবিব দেশে থাকাকালীন স্ট্যান্ডার্ড একটা পরিবেশে বড় হওয়াতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা 'Folk ' গান সম্পর্কে জানতেনই না তেমন। লন্ডনে থাকাকালীন এই ৩জনের মুখে প্রচুর সুন্দর সুন্দর ফোক গান শোনেন, তখনই হাবিবের মাথায় আসলো যে ফোক গান নিয়েই কিছু একটা করবেন।
হাবিবের প্রথম লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম "কৃষ্ণ"। এ এ্যালবামের কনসেপ্ট ও সুর অনেক পূর্বেই তৈরি করেছিলেন হাবিব, তার এই ১ম অ্যালবামের প্রায় কাজ লন্ডনে থাকাকালীন সময়েই করেন। লন্ডনে একজন সিলেটি রেস্তোরাঁর মালিক কায়া ছিলেন একজন অপরিণত গায়ক, যার মত কন্ঠই হাবিবের দরকার ছিল। ২০০২ এর নভেম্বরে হাবিব দেশে ফিরে এসে ২০০৩ এ রিলিজ দিলেন 'কৃষ্ণ' নামে তার প্রথম অ্যালবাম যেখানে বাউল শাহ আবদুল করিম, হাছন রাজা, জালাল খাঁ, আরকুম শাহ সহ আরও কয়েক বাউল সুফী সাধকদের লেখা ও সুর করা ৮টি গান প্রকাশিত হয়েছিলো। ভোকালে ছিল 'কায়া' আর হিপহপ রেপ ইত্যাদিতে কণ্ঠ দিয়েছিল 'কুনলে' এবং এই এ্যালবামের মূল কাজ তথা কম্পোজিশনে হাবিব একাই ছিল। 'কৃষ্ণ' শুধু একটা এ্যালবাম বললে ভুল হবে! এই অ্যালবামের মাধ্যামে হাবিব বাংলা মিউজিকে নতুন এক ধরনের মর্ডান মিউজিক শ্রোতাদের উপহার করলেন, যা ২০০৩ সালে বসে এরকম মানের কম্পোজিশন কেউ চিন্তাও করেনি। বাংলা লোকগীতির ফিউশনের সঙ্গে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্য গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর ২০০৪ সালে ''মায়া'' নামক দ্বিতীয় লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সেখানেও শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজা, কারী আমীর উদ্দিন সহ আরও কয়েক বাউল সাধকদের লেখা ও সুর করা জনপ্রিয় কিছু গানগুলো নতুন করে ১১টি গান আগের মতই লোকগীতির ফিউশনের সঙ্গে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ে কম্পোজিশন করে 'কায়া' এবং 'হেলাল' নামক দুই গায়ককে দিয়ে গাওয়া এ্যালবাম পাবলিশ হতেই বিশেষ করে শহুরে মানুষদের কাছে এবং তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পুরোনো স্বাদের লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্যের ইলেকট্রনিকা এর মিশ্রণ যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রচলিত হাবিবের হাত ধরেই, সেইসাথে ভিন্ন ধারার কথা ও সুরের গান নিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করে হাবিব।
হাবিবের প্রথম লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম "কৃষ্ণ"। এ এ্যালবামের কনসেপ্ট ও সুর অনেক পূর্বেই তৈরি করেছিলেন হাবিব, তার এই ১ম অ্যালবামের প্রায় কাজ লন্ডনে থাকাকালীন সময়েই করেন। লন্ডনে একজন সিলেটি রেস্তোরাঁর মালিক কায়া ছিলেন একজন অপরিণত গায়ক, যার মত কন্ঠই হাবিবের দরকার ছিল। ২০০২ এর নভেম্বরে হাবিব দেশে ফিরে এসে ২০০৩ এ রিলিজ দিলেন 'কৃষ্ণ' নামে তার প্রথম অ্যালবাম যেখানে বাউল শাহ আবদুল করিম, হাছন রাজা, জালাল খাঁ, আরকুম শাহ সহ আরও কয়েক বাউল সুফী সাধকদের লেখা ও সুর করা ৮টি গান প্রকাশিত হয়েছিলো। ভোকালে ছিল 'কায়া' আর হিপহপ রেপ ইত্যাদিতে কণ্ঠ দিয়েছিল 'কুনলে' এবং এই এ্যালবামের মূল কাজ তথা কম্পোজিশনে হাবিব একাই ছিল। 'কৃষ্ণ' শুধু একটা এ্যালবাম বললে ভুল হবে! এই অ্যালবামের মাধ্যামে হাবিব বাংলা মিউজিকে নতুন এক ধরনের মর্ডান মিউজিক শ্রোতাদের উপহার করলেন, যা ২০০৩ সালে বসে এরকম মানের কম্পোজিশন কেউ চিন্তাও করেনি। বাংলা লোকগীতির ফিউশনের সঙ্গে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্য গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর ২০০৪ সালে ''মায়া'' নামক দ্বিতীয় লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সেখানেও শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজা, কারী আমীর উদ্দিন সহ আরও কয়েক বাউল সাধকদের লেখা ও সুর করা জনপ্রিয় কিছু গানগুলো নতুন করে ১১টি গান আগের মতই লোকগীতির ফিউশনের সঙ্গে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ে কম্পোজিশন করে 'কায়া' এবং 'হেলাল' নামক দুই গায়ককে দিয়ে গাওয়া এ্যালবাম পাবলিশ হতেই বিশেষ করে শহুরে মানুষদের কাছে এবং তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পুরোনো স্বাদের লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্যের ইলেকট্রনিকা এর মিশ্রণ যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রচলিত হাবিবের হাত ধরেই, সেইসাথে ভিন্ন ধারার কথা ও সুরের গান নিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করে হাবিব।
হাবিব ওয়াহিদ পড়াশোনা করেছেন সাউন্ডের উপর কিন্তু তিনি সংগীতশিল্পী হলেন কিভাবে? হাবিব তার প্রথম দুই অ্যালবাম 'কৃষ্ণ' এবং 'মায়া' এ্যালবামে মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু ২০০৫ এ তার ৩য় অ্যালবাম "ময়না গো" এ্যালবামে 'দিন গেলো' আর 'রাত নির্ঘুম ' গান ২টির মাধ্যমে নিজেকে গায়ক হিসেবে প্রকাশ করেন হাবিব ওয়াহিদ কিন্তু মজার কথা হলো এই ২টি গান ঐ অ্যালবামে দেওয়ার কথাই ছিল না, 'ময়না গো' অ্যালবামটা তেও হাবিব চেয়েছিল শুধু মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে থাকতে। এই অ্যালবামের গান তখন সব সিলেক্ট, তো কিছু গানের মিউজিক ভিডিও'র ইডিট করতে হাবিবের স্টুডিও তে যান আমাদের আরেক মিউজিশিয়ানস 'শায়ান চৌধুরী অর্ণব'। কাজের ফাঁকে হাবিব তাকে বলে যে, আমি ২টা গান করেছিলাম আসেন আপনাকে শোনাই বলে এমনি'ই অর্ণবকে শুনিয়েছিলেন, অর্ণব গান ২টি শুনে বলে "আরে ব্রো তুমি এই ২ গান কেন অ্যাড করতেছো না, এটা তো সেই লাগছে আমার কাছে"। তো অর্নবের অনুপ্রেরণা পেয়েই ময়না গো অ্যালবামে এই ২টা গান যুক্ত করে একদম রিলিজের কিছু মাস আগে এবং ভোকাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে হাবিব, এরপরের ইতিহাসটুকু আমাদের সবার এই জানা 'দিন গেল' গান কি পরিমান জনপ্রিয় আমরা সবাই জানি।
২০০৪ সালে ‘মায়া’ এবং ২০০৫ সালে ‘ময়না গো’ শিরোনামের অ্যালবাম দুটি সে দুই বছর অ্যালবাম দুটি সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। এই জনপ্রিয়তায় হাবিব ২০০৬ সালে তার প্রথম সলো অ্যালবাম 'শোনো' রিলিজ করেন। এরপর একে একে হাবিবের বেশকিছু অ্যালবাম প্রকাশ পায়। এর মধ্যে- ‘বলছি তোমাকে’, ‘আহবান’, ‘স্বাধীন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
২০০৪ সালে ‘মায়া’ এবং ২০০৫ সালে ‘ময়না গো’ শিরোনামের অ্যালবাম দুটি সে দুই বছর অ্যালবাম দুটি সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। এই জনপ্রিয়তায় হাবিব ২০০৬ সালে তার প্রথম সলো অ্যালবাম 'শোনো' রিলিজ করেন। এরপর একে একে হাবিবের বেশকিছু অ্যালবাম প্রকাশ পায়। এর মধ্যে- ‘বলছি তোমাকে’, ‘আহবান’, ‘স্বাধীন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
এ্যালবামের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও হাবিব ছিলেন নিয়মিত, ঐ সময়ের চলচ্চিত্রের গান মানেই হাবিব। ২০০৩-২০১২ এই সময়টায় টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন মানেই ছিল হাবিবের কম্পোজিশন করা টিভিসি। '২০০৩-২০১২' এই সময়টায় যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তারা অবশ্যই জানে হাবিব ওয়াহিদ কি ছিল, নতুন করে হাবিব কে পরিচয় করানো দরকার নেই তাদের কাছে। হাবিবের কম্পোজিশনে ' আইয়ুব বাচ্চু, বাপ্পা মজুমদার, কুমার বিশ্বজিৎ সাবিনা ইয়াসমিন, হাসান, শুন্য ব্যান্ডের এমিল, নেমেসিস ব্যান্ডের জোহাদ, বালাম'সহ অনেক জনপ্রিয় মিউজিশিয়ানসরাই কন্ঠ দিয়েছেন। হাবিব ওয়াহিদের হাত ধরে দেশীয় সংগীতের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। অডিও অ্যালবাম, প্লেব্যাক এবং ভিডিও মাধ্যম মিলিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার অসংখ্য গান। শুধু তাই না, হাবিবের হাত ধরে তৈরি হয়েছে এ সময়ের বেশ ক’জন কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক।
হাবিব'কে নিয়া প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু বলে গেছেন, "যারা মিউজিক শোনে শান্তির জন্য, ওর মিউজিকে একটা শান্তির আওয়াজ পাওয়া যায়, ওর মিউজিক ওকে নিয়ে যাবে অনেক দূর।" আর্কের হাসান হাবিব রে নিয়া বললেন ,''হাবিব হলো ডেঞ্জারাস ট্যালেন্টেট একটা ছেলে, সে এত দ্রুত কিভাবে একটা গান তৈরি করে এটা আমি আজও বুঝি না"। বিশ্বের মধ্যে মিউজিকের উপর উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার এর মধ্যে অস্কারের পর পর এই থাকবে গ্রামি অ্যাওয়ার্ড সেখানে যেতে পারাই অনেক কিছু, বাংলাদেশের মধ্যে হাবিব এবং তাহসান'ই গ্রামি অ্যাওয়ার্ড দেখতে আমন্ত্রণ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
হাবিব'কে নিয়া প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু বলে গেছেন, "যারা মিউজিক শোনে শান্তির জন্য, ওর মিউজিকে একটা শান্তির আওয়াজ পাওয়া যায়, ওর মিউজিক ওকে নিয়ে যাবে অনেক দূর।" আর্কের হাসান হাবিব রে নিয়া বললেন ,''হাবিব হলো ডেঞ্জারাস ট্যালেন্টেট একটা ছেলে, সে এত দ্রুত কিভাবে একটা গান তৈরি করে এটা আমি আজও বুঝি না"। বিশ্বের মধ্যে মিউজিকের উপর উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার এর মধ্যে অস্কারের পর পর এই থাকবে গ্রামি অ্যাওয়ার্ড সেখানে যেতে পারাই অনেক কিছু, বাংলাদেশের মধ্যে হাবিব এবং তাহসান'ই গ্রামি অ্যাওয়ার্ড দেখতে আমন্ত্রণ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
The Daily Star হাবিব'কে উপাধি দিয়েছি 'King Of Fusion' আর BBC Bangla দিয়েছে সুরের জাদুকর উপাধি।
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'প্রাজপতি' চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বিভাগে 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার' অর্জন করে। বিভিন্ন সময় 'শ্রেষ্ঠ গায়ক' হিসবে বেশ কয়কেবার 'মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার' পান। এছাড়া 'সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস' এ 'সেরা চলচ্চিত্রের গান' দর্শক জরিপ এবং সমালোচক দুই বিভাগেই বিজয়ী হন, ২০০৪ সালে সেরা মিউজিক ভিডিও বিভাগেও বিজয়ী হয়েছিল।
হাবিবের কম্পোজিশনে বা নিজের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে - বন্দে মায়া লাগাইছে, মন মজাইয়া, কৃষ্ণ আইলো রাধার কুঞ্জে, আজ পাশা খেলবো, কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু, দিন গেল, প্রজাপতি, ভালোবাসবে বাসবো রে, পৃথিবীর যত সুখ, হাওয়ায় হাওয়ায় দোলনা দোলে, মনের জোড়ে চলছে রে দেহ, রাত নির্ঘুম, মন মুনিয়া, ডুব, জোছনা কথা বলোনা, স্বপ্নে তার সাথে হয় দেখা, জাদু,চলো বাংলাদেশ, ঝড়া পাতা, অন্তহীন, বেপরোয়া মন, মিথ্যে নয়, স্বপ্ন আমার বাংলাদেশ, হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা সহ আরও অসংখ্য বহু গান...
আজ হাবিবের ৪১তম জন্মদিন। জন্মদিনের অনেক অনেক ভালোবাসা প্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর, গায়ক হাবিব ওয়াহিদ! ❤️
লেখাঃ Minhaj Wahid
পরিমার্জন,সম্পাদনাঃFarhan Fahidur Rahim
তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া, ব্লগ
Posted: Friday, October 15, 2021
পরিমার্জন,সম্পাদনাঃFarhan Fahidur Rahim
তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া, ব্লগ
Post By: FarhaN Fahidur Rahim
0 মন্তব্য(গুলি)