Article | Blog
একজন তাহসান এবং ব্যান্ড কিংবা সলো জেনারেশন | জীবনবৃত্তান্ত
তাহসান বলতেই চোখে ভেসে আসে ব্ল্যাকের সেই চিরচেনা সুর আর লাইন-
''তাকিয়ে আছে মৃত্যুর এপাড়ে
জীবনের সুতীব্র উল্লাস দেখি আমি''
কিংবা ইচ্ছে এ্যালবামে গাওয়া সেই চিরচেনা আলো-
''আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবো না
চাঁদের আলো তুমি কখনো আমার হবে না''
![]() |
img: Tahsan Khan |
নাটকে সেই প্রানচ্ছোল তরুনের চরিত্রে অভিষেক ঘটে এক নবীন গায়কের যে ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ব্যান্ডে নিজের জাত চিনিয়েছে আর 'কথোপকথন' এর মত সাড়া জাগানো এ্যালবাম উপহার দিয়েছে। নাটকে সেই অব্যক্ত ভালোবাসা প্রকাশ না পেলেও আমাদের মত ব্ল্যাক বা তখনকার সলো আর্টিস্ট গায়কী হিসেবে আমাদের ভালোবাসা তিনি ঠিকই পেয়েছিল, প্রকাশ হয়েছিল। আপাদমস্তক একজন "পিওর জ্যান্টলম্যান" হিসেবে খ্যাত মানুষটি রয়েছে বহু গুণ কিংবা প্রতিভার অধিকারী। সুরের জগতে তিনি গান সৃষ্টি করেন, কন্ঠে রয়েছে মাদকতা, আবার অভিনয়েও তিনি সপ্রতিভ। কখনো আবার তিনি মডেল, উপস্থাপক থেকে নায়ক। তিনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা 'তাহসান'।
পুরো নাম "তাহসান রহমান খান" যিনি আমাদের সকলের কাছে "তাহসান" নামেই সর্বাধিক পরিচিত। জন্ম ১৮ অক্টোবর, ১৯৭৯ ঢাকায়। এই মানুষটার প্রতিভার কথা বলে শেষ করা যাবে না যিনি একাধারে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, অভিনেতা, মডেল এবং উপস্থাপক আমাদের এই 'তাহসান'।
একনজরে ব্যাক্তিজীবন, শিক্ষাজীবন, পেশাজীবনঃ
নামঃ তাহসান রহমান খান (তাহসান)
জন্মঃ ১৮ অক্টোবর ১৯৭৯ ( বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা)
পিতাঃ সানাউর রহমান
মাতাঃ জিনাতুন্নেসা তাহমিদা রহমান (পি.এস.সি'র প্রথম নারী চেয়ারম্যান)
দাম্পত্য সঙ্গীঃ রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা (বিবাহ: ২০০৬ - বিচ্ছেদ: ২০১৭)
সন্তানঃ আয়রা তাহরিম খান
পেশাঃ গায়ক, শিক্ষক, অভিনেতা
অন্যান্য পেশায় পারদর্শিতাঃ গীতিকার, সুরকার, পাবলিক স্পিকার, মডেল, উপস্থাপক, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক।
স্কুলঃ এ জি চার্চ স্কুল ও সেন্ট যোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
কলেজঃ নটর ডেম কলেজ (১৯৯৮)
কলেজঃ নটর ডেম কলেজ (১৯৯৮)
অনার্সঃ ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর (মার্কেটিং), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার (ফাইন্যান্স) ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়তে যান এবং ২০১০ সালে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন।
এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার (ফাইন্যান্স) ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়তে যান এবং ২০১০ সালে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন।
শিক্ষকতাঃ
- ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (২০০৬-২০০৮)
- ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা (গবেষণা সহকারী) (২০১০)
- ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বা ULAB (২০১০-২০১৩)
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৩-২০১৬)
- কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (২০১৬- বর্তমান); সহকারী প্রফেসর
সংগীতচর্চা ও মিউজিক জীবনঃ
তিনি শিশু একাডেমি এবং ছায়ানট থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন। ২০০০ সালে ব্যান্ডদল ব্ল্যাক বান্ডে যোগদান করেন কী-বোর্ড এবং সহ ভোকাল হিসেবে। পরবর্তিতে তিনি ব্যান্ড দল থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব ধারার গানে সলো এ্যালবাম ক্যারিয়ারে সম্পৃক্ত হন। ২০০৪-২০০৭ সাল অব্দি বের করেন নিজস্ব সলো এ্যালবাম যা সেসময় দারুন জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ২০১২ সালে তাহসান গঠন করেন তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ নামে নতুন একটি ব্যান্ড। বাংলামোটরে 'কৃত্যদাসের আবাসে' নামে তার নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে।
ব্যান্ডদল -
- ব্ল্যাক (২০০০-২০০০৫)
- তাহসান এন্ড দ্য সুফিজ
- তাহসান এন্ড দ্য ব্যান্ড ( বর্তমান )
তাহসান এবং ব্ল্যাক ব্যান্ড জেনারেশনঃ
যদিও খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, একটা তরুন জেনারেশনের কাছে ব্ল্যাক ব্যান্ড ছিল একটা আবেগের নাম আর সেই ব্ল্যাক বান্ডের সদস্য তাহসান ছিল সেই আবেগের অন্য এক প্রাণ। এই জেনারেশনের কাছে তাহসান মানেই চোখ বন্ধ করে ব্ল্যাকের তাহসান বুঝতো। বর্তমান ব্যান্ড প্রেমীদের কাছে তিনি পরিচিত জনপ্রিয় ব্যান্ড "ব্ল্যাক" এর প্রাক্তন ভোকাল/কিবোর্ডরিস্ট হিসেবে। ব্ল্যাক বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের ভূবনে নতুন এক যুগের সূচনা করেছিল। অলটারনেটিভ রক মিউজিক দিয়ে তারা বিশেষ করে কিশোর তরুণদের মন জয় করেছিল খুব সহজেই। তাহসান ২০০০ সালে যুক্ত হন ব্যান্ড দল ব্ল্যাকে, ব্ল্যাক ব্যান্ড থেকে বের হয়েছিল আমার পৃথিবী (২০০১) ও উৎসবের পর (২০০৩) এ্যালবাম। ব্ল্যাকের প্রথম অ্যালবাম 'আমার পৃথিবী'র পরই বোঝা হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতে নতুন কিছু একটা ঘটতে চলেছে। এরই ধারাবাহীকতায় আসে 'উৎসবের পর' নামের অ্যালবামটি। সেই দুই এ্যালবামে দারুন কিবোর্ড বাজিয়েছিলেন সাথে ভোকাল হিসেবে জনের পাশাপাশি তাহসানেরও কয়েকটি গাওয়া গান বের হলো, আর কিছুগানে ব্যাক-ভোকাল হিসেবে ছিলেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে দেন, যা এখনও ব্ল্যাক জেনারেশনের ফ্যানরা মেনে নিতে পারেনি। আমি নিজেও ব্ল্যাকের কঠিন ফ্যান, আমিও এখনও মেনে নিতে পারিনি তাহসানের ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে যাওয়া। এত অল্প সময়ে তাহসান, জন কবির, জাহান, টনি উনাদের সম্মিলিতভাবে ব্ল্যাক ব্যান্ড যেভাবে আন্ডারগ্রাউন্ড কিংবা প্রথম সারির ব্যান্ড দল হিসেবে খুবি রাতারাতি আত্মপ্রকাশ করেছিল, তখন এই এক ব্ল্যাক পুরো জেনারেশন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্ল্যাকের দুর্দান্ত লিরিক্স আর কম্পোজিশনে গাওয়া গানগুলো। হয়তো এই এত বছর শেষেও আফসোস করে ভাবি, ব্ল্যাকে যদি তাহসান আরও বেশ সময় বছর ধরে থাকতো তবে হয়তো আরও দারুন দারুন গান পেতাম যা থেকে আমরা অনেকটা বঞ্ছিত হলাম। যাইহোক অল্প সময়েই থাকা এই ব্ল্যাকে তাহসানের গাওয়া গানগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়। ব্ল্যাক ব্যান্ডে তাহসানের গাওয়া কয়েক গানসমূহ হল-
আমার পৃথিবী (২০০১) এ্যালবামে গাওয়া গান:
- এখনও
- আমার পৃথিবী
- মানুষ
- প্রার্থনাদ
উৎসবের পর (২০০৩) এ্যালবামে গাওয়া গান:
- অপমিত
- অপমিত
- পরাহত
- প্রাকৃতিক
- শ্লোক
সলো ক্যারিয়ার এবং তাহসানঃ
২০০৫ সালে ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে নিজস্ব সলো এ্যালবামের দিকে নজর দেন। যদিও ব্ল্যাকে থাকা অবস্থাতেই তিনি মন দিয়েছিলেন একক অ্যালবামে। ২০০৪ সালে বের করেন প্রথম অ্যালব্যাম 'কথোপকথন', প্রথম এ্যালবামের সাফল্যের পর বাকি এ্যালবামসমূহ প্রকাশ করেন। তখন যেন আমরা এক অন্য তাহসান'কে খুঁজে পেলাম তার নিজস্ব ধাঁচের গানে। আরেক জেনারেশনের কাছেও তিনিও দারুন জনপ্রিয় বা খ্যাতি পাওয়া শুরু করলো। অসম্ভব সুন্দর লিরিক্স আর তাহসানের মুগ্ধকর কম্পোজিশন আর ভয়েসে গাওয়া গানগুলো মফস্বল শহর অব্দি তখনকার উঠতি শৈশব-কৈশর থেকে শুরু করে যুবক যুবতী সবার সময়টাকে রঙ্গিন করে রেখেছিল তাহসান খানের গান। তখনকার সময়ে সেই জেনারেশনে দারুণ সব গানের জন্য অর্জন করেছেন ঈর্ষণীয় খ্যাতি।
২০০৫ সালে ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে নিজস্ব সলো এ্যালবামের দিকে নজর দেন। যদিও ব্ল্যাকে থাকা অবস্থাতেই তিনি মন দিয়েছিলেন একক অ্যালবামে। ২০০৪ সালে বের করেন প্রথম অ্যালব্যাম 'কথোপকথন', প্রথম এ্যালবামের সাফল্যের পর বাকি এ্যালবামসমূহ প্রকাশ করেন। তখন যেন আমরা এক অন্য তাহসান'কে খুঁজে পেলাম তার নিজস্ব ধাঁচের গানে। আরেক জেনারেশনের কাছেও তিনিও দারুন জনপ্রিয় বা খ্যাতি পাওয়া শুরু করলো। অসম্ভব সুন্দর লিরিক্স আর তাহসানের মুগ্ধকর কম্পোজিশন আর ভয়েসে গাওয়া গানগুলো মফস্বল শহর অব্দি তখনকার উঠতি শৈশব-কৈশর থেকে শুরু করে যুবক যুবতী সবার সময়টাকে রঙ্গিন করে রেখেছিল তাহসান খানের গান। তখনকার সময়ে সেই জেনারেশনে দারুণ সব গানের জন্য অর্জন করেছেন ঈর্ষণীয় খ্যাতি।
তাহসানের জনপ্রিয় একক এ্যালবাম:
- কথোপকথন (২০০৪)
এই এ্যালবামে তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানগুলো- ঈর্ষা, ক্ষমা, কিছু শিহরন, বৃত্তাল্পনা, শপথ, চতুর্থ মাত্রা, কথোপকথন, উৎস
- কৃত্যদাসের নির্বাণ (২০০৫)
এই এ্যালবামে তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানগুলো- প্রেমাতাল, কিছুক্ষন, ছায়ার শরীর, কাঁদা, সস্তা ক্ষোভ
এই এ্যালবামে তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানগুলো- প্রেমাতাল, কিছুক্ষন, ছায়ার শরীর, কাঁদা, সস্তা ক্ষোভ
- ইচ্ছে (২০০৬)
এই এ্যালবামে তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানগুলো- আলো, বৃষ্টিতে, দূরত্ব, মুখোশ, অনুভূতি, দূরে
- নেই (২০০৭)
এই এ্যালবামে তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানগুলো- ভুলতে পারবেনা, নেই, সাম্প্রদায়িক, বন্ধন
বেশ কয়েক বছর বিরতি দিয়ে 'প্রত্যাবর্তন' এ্যালবাম দিয়ে আবার ফিরে আসেন। এছাড়া আরও কিছু একক এ্যালবাম:
- প্রত্যাবর্তন (২০১১)
- উদ্দ্যেশ্য নেই (২০১৪)
- অভিমান আমার (২০১৭)
এছাড়া অনেক মিক্সড এ্যালবামেও গান করেন। শুধু নিজের গানের নয় অন্য কন্ঠশিল্পীদের এ্যালবামেও সুরারোপ করেছেন। সেইসাথে চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন।
গানের বাইরে আরেক জগতে রয়েছে তাঁর সফল পদচারনা। বিগত কয়েক বছর ধরে 'তাহসান' একটি জনপ্রিয় নাম। প্রথম নাটক ২০০৪ সালে 'অফবিট' এরপর কাছের মানুষ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। কয়েক বছর বিরতি দিয়ে অভিনয় করেন 'মধুরেণসমাপয়েৎ ' নাটকে। তারপর আবার বিশাল বিরতি, ২০১২ সাল থেকে তিনি টিভি নাটকে আলোচিত হতে থাকেন। বিশেষ করে ঈদ উৎসব উপলক্ষ্যে বেছে বেছে কাজ করলেও একটা সময় এসে অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অবশ্য একটা সময় এসে তিনি একই ধারার নাটক করায় সমালোচিত হতে থাকেন। মডেলিং করেছেন পন্ডস, জুঁই নারিকেল তেল, গ্রামীনফোন সহ বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। উপস্থাপক হিসেবেও তিনি সমুজ্জ্বল, বেশ কয়েকটি আলোচিত প্রোগ্রামে উপস্থাপনা করেছেন, আবার বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ফাহমির 'টু বি কন্টিনিউ' সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয় নি। অবশেষে রাজের 'যদি একদিন' দিয়ে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন৷ সামনেই মুক্তির অপেক্ষায় আছে বলিউডের নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকীর সাথে অভিনয় করা ফারুকীর পরিচালনায় মুভি 'নো ল্যান্ডস ম্যান'। এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি শিক্ষকতা পেশা করে যাচ্ছেন। বর্নিল ক্যারিয়ারে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার, সিটিসেল চ্যানেল আই পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ২০২১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা। উল্লেখ্য বাংলাদেশ থেকে সংস্থাটির প্রথম শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন আমাদের তাহসান।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কিংবা ব্ল্যাকের গায়ক হিসেবে তরুণদের মধ্যে এক সাড়া জাগানো গায়ক কিংবা তাহসান-মিথিলা কাপল'কে মিডিয়া জগতে এক সেরা জুটি বলতেও দ্বিধা করেনি। কিন্তু মডেল অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে প্রায় এক যুগ সংসার করার পর যখন বিচ্ছেদ ঘটে যা তাঁর ভক্তদের ভীষন হতাশ করে, অনেকেই তখন সেই নিউজ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তবুও দিনশেষে সবার মেনে নিতে হয় এবং তাদের ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তকে আমাদেরও সম্মান জানাতে হয়।
তাহসানের যে জিনিসটা আমার ভালো লাগে সেটা হচ্ছে তার পার্সোনালিটি, একজন পিউর জেন্টালম্যান যাকে বলা যায়, চমৎকারগোছের একজন মানুষ। যদিও আমি তার অভিনীত নাটক অভিনয় বেশি একটা পছন্দ করিনা তবে তার গানের মারাত্মক ফ্যান আমি বিধায় সবসময়ই তাহসানকে আমি গানের মধ্যেই খুঁজি তাই চাই সবসময়ই গানেই বেশি সময় দিক, গানেই ফোকাস থাকুক।
এছাড়া সম্প্রতি "অনুভূতির অভিধান" নামে বের করেছেন বই। বই প্রসঙ্গে তাহসান বলেন,
‘মানুষের জীবনে বেড়ে ওঠার সময়ে অনেক কিছুই শেখা হয়। আমার মনে হয় আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে একটা জিনিসই কম শিখছি, সেটা হচ্ছে অনুভূতি কীভাবে ধারণ করতে হয়; সেটাকে কীভাবে প্রক্ষেপণ করতে হয়, অনুভূতির চরাই উৎরাই কীভাবে পার করতে হয় সেটা। এটা আমরা শিখি না। কারণ স্কুল-কলেজে এটা শেখানো হয় না, পরিবারেও খুব একটা হয় না। যার কারণে টিনেজ বয়সে কিংবা তার পরবর্তী বয়সে বিভিন্ন সময়ে ফ্রাস্ট্রেশন বা ডিপ্রেশন চলে আসে। আমার বইটা হচ্ছে একটা ‘কনভার্সেশন স্টার্টার’; যেন কথার শুরু হয়। আমি বলবো না যে এভাবেই শুরু করতে হবে! আমি আমার গল্পের মাধ্যমে বলতে চাই যে, এভাবে শুরুটা হতে পারে’।
তাহসানের যে জিনিসটা আমার ভালো লাগে সেটা হচ্ছে তার পার্সোনালিটি, একজন পিউর জেন্টালম্যান যাকে বলা যায়, চমৎকারগোছের একজন মানুষ। যদিও আমি তার অভিনীত নাটক অভিনয় বেশি একটা পছন্দ করিনা তবে তার গানের মারাত্মক ফ্যান আমি বিধায় সবসময়ই তাহসানকে আমি গানের মধ্যেই খুঁজি তাই চাই সবসময়ই গানেই বেশি সময় দিক, গানেই ফোকাস থাকুক।
এছাড়া সম্প্রতি "অনুভূতির অভিধান" নামে বের করেছেন বই। বই প্রসঙ্গে তাহসান বলেন,
‘মানুষের জীবনে বেড়ে ওঠার সময়ে অনেক কিছুই শেখা হয়। আমার মনে হয় আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে একটা জিনিসই কম শিখছি, সেটা হচ্ছে অনুভূতি কীভাবে ধারণ করতে হয়; সেটাকে কীভাবে প্রক্ষেপণ করতে হয়, অনুভূতির চরাই উৎরাই কীভাবে পার করতে হয় সেটা। এটা আমরা শিখি না। কারণ স্কুল-কলেজে এটা শেখানো হয় না, পরিবারেও খুব একটা হয় না। যার কারণে টিনেজ বয়সে কিংবা তার পরবর্তী বয়সে বিভিন্ন সময়ে ফ্রাস্ট্রেশন বা ডিপ্রেশন চলে আসে। আমার বইটা হচ্ছে একটা ‘কনভার্সেশন স্টার্টার’; যেন কথার শুরু হয়। আমি বলবো না যে এভাবেই শুরু করতে হবে! আমি আমার গল্পের মাধ্যমে বলতে চাই যে, এভাবে শুরুটা হতে পারে’।
১৯৭৯ সালের আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করা এই বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, বিনয়ী ও গুণী মানুষটির জন্মদিন, রইলো জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা শুভকামনা নিরন্তর! শুভ জন্মদিন "তাহসান রহমান খান | তাহসান" 💗
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, ব্লগ, ইন্টারনেট
Post By: FarhaN Fahidur Rahim
0 মন্তব্য(গুলি)